চুরি যাওয়ার দু ঘন্টার মধ‍্যে বামাল ধৃত তিন দুষ্কৃতী : পুলিশের তৎপরতায় ধৃত

29th September 2020 7:52 pm বাঁকুড়া
চুরি যাওয়ার দু ঘন্টার মধ‍্যে বামাল ধৃত তিন দুষ্কৃতী : পুলিশের তৎপরতায় ধৃত


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   চুরি যাওয়ার দু ঘন্টার মধ্যে পুলিশি তৎপরতায় চুরি যাওয়া মাল সহ গ্রেপ্তার ৩  দুষ্কৃতী। ধৃত ৩ জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ব্যাগ।   উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকেই প্রচুর পরিমাণ সোনা রুপার গয়না সামগ্রী এবং অস্ত্রসস্ত্র।  পুলিশ সুত্রে জানা গেছে সোমবার ভোরে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ওন্দা থানার আমবেড়া জঙ্গলে তিন দুস্কৃতি কারীকে আটক করে ওন্দা থানার পুলিশ।  পুলিশের কাছে খবর আসে আমবেড়া জঙ্গলের রাস্তায় তিন সন্দেহ ভাজন একটি মোটর বাইক করে দ্রুত বেগে আসছে।  পুলিশের কাছে খবর আসার সাথে সাথে ততপরতার সহিত ওন্দা থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ পাকড়াও করে বাইক সহ তিন জনকে।  একজন দুস্কৃতি জঙ্গল রাস্তায় ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরে পুলিশ আটক করে তাকেও। এরপরই তিন জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ব্যাগ সেই ব্যাগের মধ্য থেকে সোনা রূপার গহনা উদ্ধার হয়। দুস্কৃতকারী কাছ থেকে  উদ্ধার হয় বাড়ি এবং দোকানের স্যাটার ও দরজা ভাঙ্গার একাধিক সরঞ্জাম।  ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে। গতকাল রাত্রি দুটো নাগাদ বাঁকুড়া সদর থানার শুনুকপাহাড়ী গ্রামে একটি জুয়েলারী দোকানের স্যটার ভেঙ্গে চুরি করে দোকানের সোনা এবং রূপোর গহনা।  চুরি করে ওই তিন দুস্কৃতীকারী জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ওন্দা থানার পুলিশের জালে আটক হয় তিন দুস্কৃতী।  রাজিবুল মন্ডল, নাসিরুদ্দিন মন্ডল এবং সাজিবুল মন্ডল এই তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতদের আগামীকাল তোলা হবে বাঁকুড়া জেলা আদালতে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্তের অগ্রগতি করতে চাইছে পুলিশ।  দুস্কৃত দলে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা আর কোন কোন জায়গায় চুরির ঘটনায় যুক্ত কিনা এই দলটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।